প্রিয় সুমিত্রা দি ,
তোমার কথা মতো;হ্যান তোমার কথায় শুধু। আমার লেখায় নাকি তুমি পাকা চুলের গন্ধ পাও। জন্মসুত্রে বাঙালি ;কর্মসূত্রে দিল্লি বাসী। তা -এর মধ্যে কবে যে ১৯-২০ পেরিয়েছে ;তা সত্যি বিবেচ্চ্য।কেউ কোনোদিন সেভাবে বলেনি ;যদিও বা বলে থাকেন তাদের সাথে আমার আত্মার মিল পাইনি।কিন্তু ,তুমি তো তেমনি কেউ নও !তোমার সাথে কথা বলতে জানোতো আমার খুব ভালো লাগে। সময়ের অভাবে আবোল-তাবোল বলে থাকি ;তুমি তো জানো আমাদের জীবন। জীবন বকলমে প্রেস্শার কুকার (:( )!
তা যাক ,সে কথায় কাজ নেই ;প্রসঙ্গে ফিরি " অনুরোধ উনিশ -কুড়ি"!
তুমি তো জানো ঠিক ক'টা সস্তার মন ভোলানো লেখা লিখে কবি হতে চাইনা আমি। এমনকি ,কবি -র ছায়া ও যদি গায়ে পড়ে আমি তটস্থ হই। কবি ,সে কি আমাদের কম্ম ;আমরা কিনা মডার্ন কর্পোরেট।
এই প্রসঙ্গে একটা ঘটনা বলি ;খুব বেশিদিন আগের নয় তাই প্রসঙ্গক্রমে মনে এলো।
আমারই এক স্কুল জীবনের বন্ধু। নাম উল্লেখে আপত্তি নেই অনীহা আছে। বরাবরই সে মেধাবী অন্তত আমার তুলনায়। তা সেই বন্ধু একদিন কথা প্রসঙ্গে আমায় জিজ্ঞেস করে আমি শান্তিনিকেতনে কোনো পাঠ নিয়েছি কিনা। খুব অদ্ভুত ঠেকেছিলো আমার। তার প্রশ্ন মোটেই অবান্তর ছিল না। বরাবর ডানপিটে,ক্লাস বাংক করা ব্যাকবেঞ্চার হঠাত কবিতা লিখছে।
যাক ,সে সব কথা ,আসল কথায় আসি তোমার তথাকথিত উনিশ -কুড়ি আসলে আমার কলমের অতীত। যা লিখি সে লেখে কলম। আর আমার কলম দিদি খুব দামী (আমার চোখে);তাতে চটুলতা আসেনা। তাতে যে যৌবন আসে তা মার্জিত ;যে বার্ধক্য তা সুন্দর ,যে শৈশব তা নির্লিপ্ত।তোমার "অনুরোধ উনিশ -কুড়ি " এখানেই ইতি টানলাম। তবে কনে দেখার দায় তোমার ;তোমার ছোট্ট ভাই কিনা। ভালো থেকো,আমি উনিশ হতে পারতাম যদি তুমি ষোলো হতে।
তোমার এটোম,
গৌরব
২৫/০৭/২০১৪
No comments:
Post a Comment