রামধনু :আচ্ছা তুমি কি পূর্বরাগ বোঝো ?
তুলি :পূর্বরাগ !ও মা ; সে তো আগে শুনিনি।
রামধনু :তুমি আমার কেমন সই,যে পূর্বরাগ বোঝো না !
তুলি:ও মা !তা তোমার পূর্বরাগ কি এমন ;যে তা না জানলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়।
রামধনু :মাপ করো!তোমাকে বলা আমার ঘাট হয়েছে।বলো তো বাপু কান ধরে উঠবোস করি।
তুলি :তা করো;সারাদিন তো তোমার ঐ পড়াশুনো। বলি ,কাজকর্ম তো কিছুই নেই।
রামধনু :বাঃ রে ,এই কথার কী এই উত্তর হয়। গিন্নি মা'কে কিছু বলাই বিপদ।
তুলি :আচ্ছা বাপু ,বলো শুনি ;কি তোমার ঐ পূর্বরাগ।
রামধনু :আহা ;ওভাবে বোলছো কেন !পূর্বরাগ হলো অদৃশ্য প্রেম।
তুলি :ও হরি !প্রেম তাও আবার অদৃশ্য। তা কি তার রকমসকম শুনি বাপু।
রামধনু :এই না তুমি সাহিত্যের পোকা। তা তুমি কি জানো না মনমোহন এর বাঁশি শুনে রাধিকা যে তার প্রেমে পড়েছিলেন।
তুলি :সে জানবো না কেন;তবে তার সাথে এই পূর্বরাগের সম্পর্ক কোথায়। তাই তো জানতে চাই।
রামধনু :এ আমি কোন অভাগীর প্রেমে পলাম গো ঠাকুর !
তুলি :কি বললে ;আমি অভাগী !আর তুমি কি মুখপোড়া মিনসে একখানা।
রামধনু :শান্ত হও,সখী শান্ত হও !আমাকে অন্ততঃ শেষ করতে দাও।
তুলি :তোমার আবোল-তাবোল তুমি আওড়াও;আমি শুনবো কেন !
রামধনু :আহা ,এই সামান্য কথায় কেউ কি অভিমান করে। আমি না তোমার প্রাণনাথ !
তুলি :তবে আমায় অভাগী বললে কেন ?
রামধনু :সে তো স্নেহের বশে। এবার বলি শোনো-তা এই যে মনমোহনের বাঁশি শুনে রাধিকার প্রেম ভাবের উত্তরণ। মনমোহন কে নিজ চক্ষে প্রত্যক্ষ না করে। একেই বলা হয় পূর্বরাগ !
তুলি :এ তো দারুন কথা প্রাণনাথ। আমি তো আগে জানিনি।
রামধনু :তাই তো তুমি আমার অবুজ পিয়া। তা আজ কি রাঁধলে।
তুলি :সে খেয়াল আছে তবে !তা বেলা তো হলো ;জলকে চলো !-০৭.০৫.২০১৪
তুলি :পূর্বরাগ !ও মা ; সে তো আগে শুনিনি।
রামধনু :তুমি আমার কেমন সই,যে পূর্বরাগ বোঝো না !
তুলি:ও মা !তা তোমার পূর্বরাগ কি এমন ;যে তা না জানলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়।
রামধনু :মাপ করো!তোমাকে বলা আমার ঘাট হয়েছে।বলো তো বাপু কান ধরে উঠবোস করি।
তুলি :তা করো;সারাদিন তো তোমার ঐ পড়াশুনো। বলি ,কাজকর্ম তো কিছুই নেই।
রামধনু :বাঃ রে ,এই কথার কী এই উত্তর হয়। গিন্নি মা'কে কিছু বলাই বিপদ।
তুলি :আচ্ছা বাপু ,বলো শুনি ;কি তোমার ঐ পূর্বরাগ।
রামধনু :আহা ;ওভাবে বোলছো কেন !পূর্বরাগ হলো অদৃশ্য প্রেম।
তুলি :ও হরি !প্রেম তাও আবার অদৃশ্য। তা কি তার রকমসকম শুনি বাপু।
রামধনু :এই না তুমি সাহিত্যের পোকা। তা তুমি কি জানো না মনমোহন এর বাঁশি শুনে রাধিকা যে তার প্রেমে পড়েছিলেন।
তুলি :সে জানবো না কেন;তবে তার সাথে এই পূর্বরাগের সম্পর্ক কোথায়। তাই তো জানতে চাই।
রামধনু :এ আমি কোন অভাগীর প্রেমে পলাম গো ঠাকুর !
তুলি :কি বললে ;আমি অভাগী !আর তুমি কি মুখপোড়া মিনসে একখানা।
রামধনু :শান্ত হও,সখী শান্ত হও !আমাকে অন্ততঃ শেষ করতে দাও।
তুলি :তোমার আবোল-তাবোল তুমি আওড়াও;আমি শুনবো কেন !
রামধনু :আহা ,এই সামান্য কথায় কেউ কি অভিমান করে। আমি না তোমার প্রাণনাথ !
তুলি :তবে আমায় অভাগী বললে কেন ?
রামধনু :সে তো স্নেহের বশে। এবার বলি শোনো-তা এই যে মনমোহনের বাঁশি শুনে রাধিকার প্রেম ভাবের উত্তরণ। মনমোহন কে নিজ চক্ষে প্রত্যক্ষ না করে। একেই বলা হয় পূর্বরাগ !
তুলি :এ তো দারুন কথা প্রাণনাথ। আমি তো আগে জানিনি।
রামধনু :তাই তো তুমি আমার অবুজ পিয়া। তা আজ কি রাঁধলে।
তুলি :সে খেয়াল আছে তবে !তা বেলা তো হলো ;জলকে চলো !-০৭.০৫.২০১৪
No comments:
Post a Comment